অনেকের ৪০ বছর পেরিয়ে গেলেই একটি সমস্যার মুখে পড়েন অনেকে। দেখা যায় রাতে বারবার একাধিকবার প্রস্রাব করতে উঠতে হয়। ফলে ঘুম হয়ে যায় এলোমেলো। এর প্রভাব পড়ে দিনের কর্মকাণ্ডে।
চিকিৎসার পরিভাষার একে বলা হয়ে ‘নকচুরিয়া’। নানা ধরণের কারণে এই সমস্যা হতে পারে। এতে আক্রান্ত হওয়ার ফলে মূত্রাশয়ের কর্মক্ষমতা কমে যেতে পারে।
সাধারণত চার ধরনের নকচুরিয়া দেখা যায়।
১. পলিইউরিয়া (২৪ ঘণ্টায় অনেকবার বাথরুমে যেতে হয়),
২. নকচারন্যাল পলিইউরিয়া (প্রস্রাবের পরিমাণ রাতে বেশি),
৩. মূত্রথলি বা ব্লাডারের স্টোরেজে সমস্যা থেকে প্রস্রাবের সমস্যা,
৪. মিক্স নকচুরিয়া।
বলা হয়ে থাকে মোটামুটি ৩জন পুরুষের মধ্যে একজন নকচুরিয়ার সমস্যা থাকতে পারে। ‘নকচুরিয়া’ থেকে বাঁচতে লাইফস্টাইলে পরিবর্তন আনতে হয়। রাতে ঘুমাতে যাওয়ার দু’ঘণ্টা আগে পানি খাওয়া কমিয়ে দিতে হবে।
মদ্যপানের অভ্যাস থাকলে ছাড়তে হবে। চিকিৎসকের পরামর্শ নিন। অনেকের প্রস্রাবের সমস্যা থেকে পা ফুলে যায়। সেক্ষেত্রে রাতে একাধিকবার প্রস্রাব পেতে পারে। যদি দিনের বেলায় ঘুম পায়, তাহলে ঘুমিয়ে নিন। কারণ, একাধিকবার প্রস্রাব করতে ওঠার জন্য রাতের ঘুমে ছেদ পড়ে।
বিশেষ দ্রষ্টব্য: এ লেখাতে নকচুরিয়া সম্পর্কে কেবল প্রাথমিক ধারণা দেয়া হয়েছে। যেকোনো প্রয়োজনে, এ রোগ সম্পর্কে আরও বিস্তারিত জানতে চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।
দৈনিক কলম কথা সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।